বরুড়া প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার বরুড়ায় ৪নং দক্ষিণ খোশবাস ইউনিয়নের মুগুজী গ্রামে জোরপূর্বক জায়গা দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মুগুজী গ্রামের দাসপাড়া মোল্লা বাড়ির মোসলেম উদ্দিন গং এবং রমিজ উদ্দিন গং এর মধ্যে ৩/৪ বছর ধরে জায়গা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। উক্ত জায়গার সীমানা প্রাচীরে গত ২৪/০৭/২৫ ইং তারিখ বিকাল চারটায় রমিজ উদ্দিনসহ আরও কয়েকজন ঘর নির্মাণ করার উদ্দেশ্যে মোসলেম উদ্দিনের বাড়িতে প্রবেশ করে জোর করে একটি পাকের ঘর ভেঙ্গে দেন। এতে মোসলেম উদ্দিনের পঞ্চাশ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে এলাকার সর্দার মাতবর এর নিকট বিচার চাইলে তাহারা সালিশ বসালে সালিশে উভয় পক্ষকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন। সালিশের পরামর্শ না মেনে রমিজ উদ্দিনগং মোসলেম উদ্দিনের গং এর উপর হামলা করেন। এ বিষয়ে মোসলেম উদ্দিন বলেন, এই জায়গাটি আমরা ৫৪ বছর ধরে মালিক ও ভোগ দখল করে আসছি। রমিজ হঠাৎ করে গত ৩/৪ বছর আগে এই জায়গা তারা পাবে বলে আমাদেরকে জানান। আমরা এই বিষয়ে বহুবার জায়গা মেপে আমাদের দখলীয় জায়গা বুঝে নেই। কিন্তু তারা কোন রকমেই মানেন না। রমিজ ঘর করার জন্য আমাদের সীমানার মধ্যে খুটি দিলে আমি এলাকার সর্দারকে বিষয়টি জানালে তিনি বাঁধা দিতে বলেন। রমিজ বাঁধা না মানলে আবারও সর্দারকে জানালে তিনি ঘটনারস্থলে আসেন। তিনি আসার সাথে সাথে রমিজ উদ্দিনসহ আরও কয়েকজন মিলে আমার পাকের ঘরটি ভেঙ্গে ফেলে। এই বিষয়ে সালিশ বসালে এলাকার সর্দারগণ আদালতে যেতে বলেন। এর পরপরই রমিজ ও তার দুই ছেলেসহ আরও কয়েকজন আমিসহ পাঁচজনকে বিভিন্ন ভাবে কিল, ঘুষি, লাথি, ইট দিয়ে আমাদেরকে আহত করেন। এলাকার লোকজন আমাদেরকে উদ্ধার করে বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কপপ্লেক্সে নেন। আমি, আব্দুল জব্বার এবং জয়নাল আবেদীনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। আমার ভাতিজা ইলিয়াস হোসেন, ও আলী আহম্মদ এর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে কর্তব্যরত ডাক্তার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আমি এমন ঘটনার বিচার দাবি জানাচ্ছি। এলাকার সর্দারদের মধ্যে আব্দুল জব্বার বলেন, আমার ছেলে ইলিয়াসকেও রমিজের ভাতিজা ফয়সাল পিটিয়ে গুরুতর আহত করিলে অবস্থা খারাপ হওয়ায় কুমেক হাসপাতালে ভর্তি করাই। গতকাল রাত দুইটায় আমাদেরকে ফাঁসানোর জন্য নিজেরা নিজেদের ঘর কুপিয়ে পুলিশ নেন। অবৈধ উপায়ে আমাদের জায়গা জোরপূর্বক দখল করার কারণে প্রশাসনের নিকট বিচার দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে রমিজ উদ্দিন বলেন, তাদের দায়েরকৃত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এ বিষয়ে বরুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যাহার অভিযোগ নং ২৩১০, তারিখ- ২৫/০৭/ ২৫ ইং।