• বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনাম
বরুড়ায় মোবাইল কোর্টে ১১ হাজার টাকা জরিমানা বরুড়ায় পবিত্র ঈদ এ মিলাদুন্নবী (সঃ) উদযাপিত বরুড়া বড় লক্ষীপুর ঈদে মিলাদুন্নবী (স:) জশনে জুলুছ পালিত বরুড়ায় পুরনো মুক্তিযোদ্ধা অফিস সংলগ্ন জনসাধারণের চলাচলের রাস্তার উপর গাছ থাকায় জনদূর্ভোগ গনতন্ত্র সুশাসন ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ধানের শীষে ভোট দিন …….. আবুল কালাম বরুড়ায় সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, গ্রাম আদালত ও গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত বরুড়ায় শিলমুড়ি রাজ রাজেশ্বরী উচ্চ বিদ্যালয়ে ফুটবল ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত বরুড়ায় প্রশাসনের উদ্যোগে অবৈধ দোকান ও স্থাপনা উচ্ছেদ বরুড়ায় হাজার পিস ইয়াবাসহ মাদক কারবারী আটক বরুড়ায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতা এবং পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান

মাথায় গুলি নিয়েই চলে গেল জুলাই আন্দোলনে আহত কিশোর

Riaz Uddin Rana / ৩৭ Time View
Update : শনিবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৫
যাত্রাবাড়ীতে গুলিবিদ্ধ হওয়ার আট মাস পর পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৭ বছরের এই কিশোর মারা যায়।

জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীতে গুলিবিদ্ধ পটুয়াখালীর মো. আশিকুর রহমান হৃদয় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।

যাত্রাবাড়ীতে গুলিবিদ্ধ হওয়ার আট মাস পর শুক্রবার বিকালে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৭ বছরের এই কিশোর মারা যায়।

হৃদয় উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের পশ্চিম যৌতা গ্রামের রিকশাচালক আনসার হাওলাদারের ছেলে।

বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আব্দুর রউফ সাংবাদিকদের বলেন, “হৃদয়কে মুমূর্ষু অবস্থায় দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল। পরিবার যথাসময়ে বরিশাল নিয়ে যেতে পারেনি। বিকালে তার মৃত্যু হয়।”

পরিবার জানায়, হৃদয় ঢাকাতে শ্রমিকের কাজ করত। জুলাই আন্দোলনে সে অংশ নেয়। ১৮ জুলাই যাত্রাবাড়ী এলাকায় তার মাথায় গুলি লাগে। তখন সে লুকিয়ে চিকিৎসা নেয়। ৫ অগাস্টের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে হৃদয়কে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

তখন চিকিৎসকরা তার মাথা থেকে দুটি গুলি বের করে। আরেকটি গুলি বের করা সম্ভব হয়নি। এতে পুরোপুরি সুস্থ হতে পারেনি হৃদয়।

হৃদয়ের বাবা আনসার হাওলাদার বলেন, “ছেলের উন্নত চিকিৎসা করাতে পারিনি। নিজের রিকশা ও একটা গরু বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে যতটুক পেরেছি ততটুক চেষ্টা করেছি। বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হলে আমার ছেলে বেঁচে থাকত।”

হৃদয়ের বড় ভাই মো. সোহাগ ইসলাম আনিস বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিল হৃদয়। প্রচুর ব্যথা হত। প্রায়ই জ্বর উঠত। কেউ আমার ভাইয়ের উন্নত চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসেনি। উন্নত চিকিৎসার অভাবেই আমার ভাই মারা গেছে।”


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর