• শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০১:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
কুমিল্লা নামেই বিভাগ হবে, লাকসাম হবে জেলা — আবুল কালাম বরুড়ার আমড়াতলীতে মাদক ব্যবসায়ী রুবেল আটক বরুড়া পৌরসভার উদ্যোগে বিনামূল্যে ফলজ ও বনজ গাছের চারা বিতরণ লাকসামে যুবদলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত লাকসাম যুবদল নেতা ইয়াসিন ফাহাদের ৩৯তম জন্মদিনে শুভেচ্ছার বন্যা লাকসামে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ……….. আবুল কালাম বিজরা কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ফোরামের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত আল আরাফাহ্ ব্যাংকের স্কুল ব্যাংকিং ক্যাম্পেইন -২০২৫ অনুষ্ঠিত আমড়াতলী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম’ এর বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান

কাউনিয়ায় সেই প্রিয় তেতুঁল গাছ কেন বিলুপ্তের পথে!

Dev Farhad / ২৭৮ Time View
Update : বুধবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৩

Warning: Attempt to read property "post_excerpt" on null in /home/u403222581/domains/newsallbangladesh24.com/public_html/wp-content/themes/amarshomoy/single.php on line 110

সারওয়ার আলম মুকুল,কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধিঃ তেতুঁল নিয়ে গ্রামে আছে অনেক রসময় ছড়া যেমন, ‘তেতুঁল পাতা তেতুল পাতা, তেতুল বড় টক, তোমার সাথে ভাব করিতে আমার বড় সখ’। দেখলেই জীভে জল আসেনা এমন লোক পাওয়া ভার। বাংলাদেশে নারীদের প্রিয় ফলের মধ্যে তেতুল অন্যতম। তেতুল খেলেই কয়েক প্রকার বালাই নাশ হয়। তেতুঁল শহর কিংবা গ্রামের সব মানুষেরই প্রিয়। কাঁচা কিংবা পাকা সব অবস্থাতেই খাওয়া যায় তেতুঁল। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ তেতুঁলের উপকারও অনেক। কাউনিয়ায় গ্রাম বাংলার সেই প্রিয় তেতুঁল গাছ এখন বিলুপ্তের পথে। আছে শুধু তেতুঁল গাছ নিয়ে নানা স্মৃতি। উপজেলার অনেক স্থানের নাম তেতুঁলতলা, তেতুঁল ঘাট, তেতুঁল দীঘি প্রভৃতি, কিন্তু সেখানে নেই কোন তেতুল গাছ। তেতুঁল গাছ এ উপজেলার মানুষের কাছে অনেকটাই স্মৃতির পাতায়। যাদের বয়স ৫০ কিংবা ৬০ এর উপরে তারাই এখন গল্প শোনায় তেতুঁল গাছের কথা, আর তেতুঁল গাছের ভূতের গল্প। গ্রামাঞ্চলের অনেকে মনে করেন, তেঁতুল খেলে রক্ত পানি হয়ে যায়, সে সাথে বুদ্ধিও কমে। এজন্য বাচ্চাদের তেঁতুল খেতে বারণ করা হয়। এগুলো নিছক কুসংস্কার। বাস্তবে ঠিক উল্টো। তেঁতুল রক্ত পরিষ্কার করে। মস্তিষ্কে চিন্তা করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। তেঁতুল খাবারে স্বাদ বাড়ায়। এজন্য মাংসের রোস্ট, পোলাও, খিচুড়িতে ব্যবহার হয়। আসলে এ ফলটি সবার কাছে অন্য এক আকর্ষণ। তেঁতুলে আছে চোখ ধাঁধানো পুষ্টি গুন। পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, তেতুলে রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রন, আমিষ, শর্করা, চর্বি, ভিটামিন, খনিজ লবণ এবং খাদ্যশক্তি, ফসফরাস, সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সিলিনিয়াম, দস্তা, তামা। গ্রামের ভেষজ চিকিৎসকরা জানায় তেতুঁল খেলে শরীরের নানা রকম রোগ বালাই ভালো হয়, যেমন হাই প্রেসার, ডায়াবেটিস, দাঁতের ব্যথা, চুলের খুসকী রোধ এবং আধুনিকাদের ত্বকের সৌন্দর্য চর্চায়ও তেতুঁলের উপকারিতা অতুলনীয়। প্রকৃতির শোভা বর্দ্ধক ও পরোপকারী এ গাছটি আগে গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে ছিল এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। কালের গহŸরে হারিয়ে যাচ্ছে তেতুঁল গাছ। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানাজ পারভীন জানান তেতুঁল অনেক উপকারী একটি ফল। তেতুঁলে টারটারিক এসিড থাকায় মানুষের হজমে সহায়তা করে। তেঁতুলের ফল, বিচি, পাতা, ফুল, গাছের বাকল প্রতিটি মূল্যবান। এছাড়া গাছের গুঁড়ি মাংস কাটার ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়। তেতুঁল একটি জনপ্রিয় ভেষজ ফল। এলাকার কৃষকদের ভেষজ গাছ রোপনে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এলাকাবাসীর দাবী বন বিভাগ, কৃষি বিভাগের মাধ্যেমে এ ফল গাছটি রোপন করে ঐতিহ্য ধরে রাখার। তেতুল গাছ রক্ষয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে উপজেলা প্রশাসন আর সংরক্ষণ হবে প্রাচীন ঐতিহ্য, আর রক্ষা হবে গ্রামের গর্ব।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর