🚨🚨 ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দোকানে দাঁড়ানো নিয়ে সংঘর্ষ, সাংবাদিক-পুলিশসহ আহত ৩০
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে একটি লন্ড্রি দোকানের সামনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের মধ্যে প্রায় ৩ ঘণ্টা সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় ৪ পুলিশ সদস্য ও এক সাংবাদিকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
এসময় উভয়পক্ষ মোটরসাইকেলসহ একাধিক ঘরবাড়ি ভাঙচুর করেছে। তাদের মধ্যে আগে থেকেই জমি নিয়ে বিরোধ ছিল বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এদিকে সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রবার বুলেট নিক্ষেপ করে এবং ৪ জনকে আটক করে।
শনিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত উপজেলার চরচারতলা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।সরাইল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, চরচারতলা গ্রামের সরকার বাড়ি ও শেয়াল বাড়ির মধ্যে মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। শনিবার স্থানীয় চরচারতলা ইউনিয়ন পরিষদ ভবন সংলগ্ন একটি লন্ড্রি দোকানের সামনে দাঁড়ানো নিয়ে দু’গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে উভয়পক্ষ দা, লাঠি, বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। তাদের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে ৪ পুলিশ ও একজন সাংবাদিক আহত হন। এ ছাড়াও, সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হন।’
আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।আশুগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন চন্দ্র পাল জানান, সংঘর্ষের পর চরচারতলা থেকে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে সরকার বাড়ির বাদল সরকার ও শেয়ালবাড়ির ছাদির মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন বলেন, ‘সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সদস্যরা ৩০টি কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ওই গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’