• বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০:২৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম
কুমিল্লা নামেই বিভাগ হবে, লাকসাম হবে জেলা — আবুল কালাম বরুড়ার আমড়াতলীতে মাদক ব্যবসায়ী রুবেল আটক বরুড়া পৌরসভার উদ্যোগে বিনামূল্যে ফলজ ও বনজ গাছের চারা বিতরণ লাকসামে যুবদলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত লাকসাম যুবদল নেতা ইয়াসিন ফাহাদের ৩৯তম জন্মদিনে শুভেচ্ছার বন্যা লাকসামে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ……….. আবুল কালাম বিজরা কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ফোরামের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত আল আরাফাহ্ ব্যাংকের স্কুল ব্যাংকিং ক্যাম্পেইন -২০২৫ অনুষ্ঠিত আমড়াতলী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম’ এর বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান

আম খাওয়ার আগে ডায়াবেটিস রোগীদের যা জানতে হবে

Riaz Uddin Rana / ৫২ Time View
Update : শুক্রবার, ৭ জুন, ২০২৪

বাজারে শুরু হয়ে গেছে রসালো পাকা আমের আনাগোনা। মিষ্টি ও সুস্বাদু আম শ্বেতসারের ভালো উৎস। পাশাপাশি এতে আছে শর্করা, গ্লুকোজ, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, আঁশ, ভিটামিন বি-১, বি-২, থায়ামিন, ভিটামিন সি, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ফসফরাস। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অতিরিক্ত আম খাওয়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যদিও অনেকে মনে করেন ডায়াবেটিস রোগীরা আম একেবারেই খেতে পারবেন না। তবে এই ধারণা আদৌ মোটেই ঠিক নয়। ডায়াবেটিস রোগীরা অবশ্যই আম খেতে পারবেন। তবে কয়টি খাবেন এবং কখন খাবেন-সেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আম এমন একটি ফল যা লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের অন্তর্ভুক্ত। আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৫০ এর বেশি। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কার্বোহাইড্রেটের সূচক। যত কম গ্লাইসেমিক রেটের খাবার খাওয়া হবে ততই শরীরের জন্য ভালো। তাই আম ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য চমৎকার স্ন্যাকস। আমে থাকা আঁশ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, পাশাপাশি ব্লাড গ্লুকোজকে বাড়তে দেয় না। আমে থাকা ভিটামিন এ এবং সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আমে থাকা পটাশিয়াম হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

ডায়াবেটিসের রোগী আম খেতে পারেন না, এ কথা ভুল। আম খেতে পারবেন, তবে শর্করাযুক্ত অন্যান্য খাবারের সঙ্গে সামঞ্জস্য করে। যেমন সকালে অনেকেই আম রুটি বা আম চিড়া খেতে পছন্দ করেন। সকালে যদি আগে ৩টি রুটি খেতেন তবে সেখান থেকে একটি রুটি বাদ দিয়ে বা চিড়া ৩ ভাগের একভাগ কমিয়ে দিয়ে তার পরিবর্তে ১টি আম খেতে পারেন। রাতে সাধারণত বলা হয় যে মিষ্টি জাতীয় ফল ডায়াবেটিস রোগীদের কম গ্রহণ করতে। কিন্তু তারপরেও অনেকেই আমের সিজনে আম দিয়ে দুধ ভাত খেতে পছন্দ করেন। তাদের উদ্দেশ্যে পরামর্শ হলো, ভাতের পরিমাণ কমিয়ে দিন।

অর্থাৎ আগে যা ভাত খেতেন তার অর্ধেক ভাত খান এবং পাশাপাশি পরিমাণ মতো আম খান। রাতের এই খাবার শেষ করুন সন্ধ্যা রাতেই। কারণ বেশি রাতে আম খেলে ক্যালোরি খরচ করার সময় পাওয়া যায় না। সকালে আম খেলে সারাদিনে নানা কাজে খরচ হয়ে যায় ক্যালোরি। রাতের খাবার শেষে ১ ঘণ্টা পর একটু বেশি সময় হেঁটে নিতে হবে, তাহলে আম খেলেও কোনস সমস্যা হবে না। পাকা আম একজন ডায়াবেটিস রোগী দৈনিক ৫০ থেকে ৬০ গ্রাম খেতে পারেন। মানে প্রতিদিন একটি ছোট আম বা অর্ধেকটা মাঝারি আম খাওয়া যাবে।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর